Saturday, April 18, 2015

ইভটিজিং বিরোধী গেরিলা বাহিনী

কফি শপে জমিয়ে আড্ডা চলছে। পাঁচ বন্ধু একসাথে। ভার্সিটির ক্লাসের ফাঁকে ফাঁকে এমন আড্ডা ওদের প্রায়ই হয়।
কথা প্রসঙ্গে এসে যায় প্রেম-ভালোবাসা। চলতে থাকে মজা করা। জীবনে কে কটা মেয়ের দিকে তাকিয়েছে,কে সব থেকে বেশি সুন্দর ছিল- এই ছিল তাদের আলাপ। এমন সময় কফি শপে এসে বসে "পরী" রুপী একটা মেয়ে ।
পাঁচে বন্ধু "থ" বনে গেছে। মেয়েলি আলাপে মেয়ের আগমন! জোশ টাইমিং! বলেই ফেলল হিমেল।
এবারে শুরু হল সামনে বসা নতুন আগত মেয়েকে নিয়ে আলাপ-আলোচনা। একেক জনের একেক গল্প। কেবল চুপটি মেরে বসে রয়েছে অমিত। অমিত কোনও কথা বলছে না। সে শুধু মন দিয়ে কফি খাচ্ছে আর ওর বন্ধুদের কার্যকলাপ দেখছে। হঠাৎ বন্ধুদের মধ্যে বাজি ধরা হল৷ হিমেল মেয়েটার সাথে কথা বলতে যাবে।পারলে ৫০০ টাকা। হিমেল চেয়ার ছেড়ে উঠে পড়েছে।

পথ আটকে ধরলো অমিত। ও আমার ছোট বোন!!
কী!!!!!
বোম ফাটা চেহারা নিয়ে বাকি চারজনে এর ওর দিকে চাওয়াচাওয়ি করছে। এতক্ষণ অমিতের সামনেই ওর ছোট বোনকে নিয়ে হরেক মন্তব্য করা হয়েছে। আর এ জন্যই বোধয় অমিত এতক্ষণ চুপচাপ ছিল।
দোস্ত স্যরি- এক্সট্রিমলি স্যরি, বলল হিমেল।
ইটস ওকে! আস্তে সুরে বলল অমিত।
ক'দিন বাদে অমিতদের বাসায় অমিতের জন্মদিনে সবার দাওয়াত। খেতে খেতে এসে গেলো অমিতের বোনের প্রসঙ্গ। কই, ছোট আপুটাকে দেখছি না'তো, বলল তমাল।
আমার কোনও বোন নেই! অমিতের দৃঢ় জবাব।
খাওয়া বন্ধ হয়ে হা হয়ে গেছে বাকি চারজনের মুখ।
তবে যে সেদিন বললি- "ও তোর বোন!"
মিথ্যা বলিনি! আমি ওকে বোনের নজরে দেখেছিলাম। অমিতের সহজ সরল জবাব। বন্ধুদের মুখেও কোনও কথা নেই।
একটা মেয়ে আপনজনের বোন হলেই সে হয় সম্মানের পাত্র-ছোট বোন, আর অপরিচিত জনের বোন মানেই "গল্প করার আইটেম"! ধিক্ এ সকল বন্ধুদের।
--জুবায়ের, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।http://bangladeshdhaka1.blogspot.com/