Thursday, February 26, 2015

bangla new song

bangla best song

Tuesday, February 24, 2015

খালেদার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা


http://bangladeshdhaka1.blogspot.com/জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। আজ বুধবার বিশেষ জজ আদালত-৩-এর বিচারক আবু মোহাম্মদ জমাদ্দার এ আদেশ দেন।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির দুই মামলায় খালেদা জিয়ার আজ আদালতে হাজির হওয়ার কথা ছিল। এই মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া গতকাল মঙ্গলবার সাংবাদিকদের জানান, শারীরিকভাবে অসুস্থ হওয়ায় এবং হরতাল-অবরোধে নিরাপত্তাজনিত কারণে বিএনপির চেয়ারপারসন আদালতে হাজির হতে পারবেন না।

আজ খালেদা জিয়ার পক্ষে সময়ের আবেদন করা হয়। আদালত তা নাকচ করেন। খালেদা জিয়া হাজির না হওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

পুরান ঢাকার বকশীবাজারে আলিয়া মাদ্রাসাসংলগ্ন মাঠে স্থাপিত তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের অস্থায়ী এজলাসে মামলার বিচারকাজ চলছে। গত বছরের ১৯ মার্চ খালেদা জিয়াসহ নয়জনের বিরুদ্ধে এ দুই মামলায় অভিযোগ গঠন করেন আদালত। গত ২২ সেপ্টেম্বর জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। সর্বশেষ তিনি গত ডিসেম্বরে আদালতে হাজির হয়েছিলেন।

Monday, February 23, 2015

বিশ্বের সবচেয়ে দামি খাবার

নীল পাখনা টুনা মাছ: এক পাউন্ডের দাম পড়বে সাড়ে তিন হাজার ডলার। এ টুনা মাছের মাংস গোলাপী লাল বর্ণের। জাপানের বিখ্যাত রেসিপি সুশি ও সাশিমি গত দুই বছরে রেকর্ড পরিমাণ বিক্রি হয়েছে। তবে বিলুপ্তপ্রায় এ প্রজাতির টুনা মাছ শিকারে পরিবেশ আন্দোলনকর্মীদের চরম আপত্তি আছে।
02
৩. কপি লুয়াক কফি: এক পাউন্ডের দাম ১০০ থেকে ৬০০ ডলার। বিশ্বের সবচেয়ে দামি কফি। তবে এর উৎপাদন প্রক্রিয়া নিয়ে অনেকের আপত্তি আছে। কারণ বানর জাতীয় একটি প্রাণী এ কফি ফল খেয়ে মলত্যাগ করলে তা সংগ্রহ করে ধুয়ে শুকিয়ে বাজারজাত করা হয়।
03
৪. টোয়াক চকোলেট: এক আউন্সের দাম ২৬০ ডলার। ওয়াল স্ট্রিটের এক ব্যাংকার ইকুয়েডরে এ চকোলেট আবিষ্কার করেন। এতে আছে ৮১ শতাংশ খাঁটি কোকো।
04
৫. আনারস: একটা আনারসের দাম ১৬ হাজার ডলার! যুক্তরাজ্যের ভিক্টোরিয়ার যুগের নিয়ম অনুসারে এ আনারস চাষ করা হয়। এ আনারস পাকতে পাক্কা এক বছর লাগে। দ্য লস্ট গার্ডেনস অব হেলিগানে এটি চাষ হয়। তবে বিক্রি করা হয় না। শুধু প্রতিষ্ঠানে স্টাফদের কপালেই জোটে এটি।
05
৬. আজিঘ ডাটা: এক পাউন্ডের দাম পড়বে ৬০০ ডলার। এটি অনেকটা অ্যাসপ্যারাগাসের মতো। বিশ্বের সবচেয়ে দামি সবজি বলে ধরা হয় এ ডাটা জাতীয় সবজিটিকে। আজিঘ শুধু বসন্তে জন্মায় এবং দ্রুত মরে যায়। তবে এটি জঙ্গলেই জন্মায়, বাগানে চাষ করা এখনো সম্ভব হয়নি।
06
৭. লা বনোত্তে আলু: এক পাউন্ড আলুর দাম ৩০০ ডলার। ফ্রান্সের পশ্চিম উপকূলে নিরমোতিয়ে দ্বীপেই শুধু জন্মে এ গোলআলু। খুবই কম পরিমাণে বছরে একবারই এর চাষ হয়। তবে এ বছর শেতু দে ভার্সাইলের একটি বাগারে এ প্রজাতির আলু চাষ হয়েছে।
07
৮. জাফরান: এক পাউন্ডের দাম ২ হাজার থেকে ১০ হাজার ডলার। ফুল থেকে সংগ্রহ করা হয় এ প্রাকৃতিক রঙ। সংগ্রহ প্রক্রিয়া অনেক শ্রমসাধ্য এবং নির্দিষ্ট কিছু অঞ্চলে জন্মায় বলে এতো দামি। জাফরানের গাছে বছরে মাত্র এক সপ্তাহের জন্য একটি ফুল ফোটে। আর এ থেকে পাওয়া যায় মাত্র তিনটি পুংকেশর যা থেকে জাফরান সংগ্রহ করা হয়। এটা শুধু হাত দিয়েই সংগ্রহ করা সম্ভব।
08
৯. সাদা ছত্রাক: এক পাউন্ডের দাম ৩ হাজার থেকে ২৩ হাজার ৭৫০ ডলার। ইতালিতে যেটা পাওয়া যায় সেটির দাম ৩০০ ডলার। তবে কয়েক বছর আগে এ রুশ ধনকুবের ৪ পাউন্ড ওজনের একটি ছত্রাকের জন্য ৯৫ হাজার ডলার দাম হাঁকানোর পর রাতারাতি দাম আকাশে উঠে গেছে।
09
১০. উবারি তরমুজ: একটা তরমুজের দাম সাড়ে ৭ হাজার ডলার। দুই বছর আগে জাপানে এক জোড়া তরমুজ বিক্রি হয়েছিল ১৫ হাজার ৭৩০ ডলারে। এই প্রজাতির তরমুজ জাপানের মর্যাদার প্রতীক হয়ে আছে।
10
১১. জাপানি ওয়াগাইউ মাংস: এক পাউন্ড মাংসের দাম পড়ে ৩০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ ডলার। এটি এক প্রজাতির গরু। শুধু জাপানেই পাওয়া যায়। এর মাংস অত্যন্ত কোমল এবং কলেস্টেরলের মাত্রা খুবই কম।
11http://bangladeshdhaka1.blogspot.com/

বিশ্বের সবচেয়ে দামি খাবার

. আয়াম সিমানি মুরগী: একটা মুরগীর দাম ২ হাজার ৫০০ ডলার। আর বাচ্চা কিনলে ১৯৯ ডলারে পাওয়া যাবে। এটি ইন্দোনেশিয়ায় পাওয়া যায়। খুবই বিরল প্রজাতির মুরগী।
01http://bangladeshdhaka1.blogspot.com/

Monday, February 16, 2015

Concert for Bangladesh George Harrison

http://bangladeshdhaka1.blogspot.com/

পুলিশ যখন বিনাবিচারে মানুষ হত্যা করে তখন কেন আদালত থেকে কোনো রায় আসে না

পুলিশ যখন বিনাবিচারে মানুষ হত্যা করে তখন কেন আদালত থেকে কোনো রায় আসে না?’ এমন প্রশ্নই রেখেছেন সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক রুহুল আমিন গাজী। জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশ অব বাংলাদেশ (ড্যাব) আয়োজিত সকল রাজনৈতিক সঙ্কট নিরসনে দ্রুত সংলাপ এবং নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে চিকিৎসক সমাবেশে তিনি আদালতের প্রতি এ প্রশ্ন রাখেন।
রুহুল আমিন গাজী বলেন, ‘সহিংসতা বন্ধে সরকারকে ব্যবস্থা নিতে আদালত নির্দেশ দিয়েছে কিন্তু পুলিশ যখন বিনাবিচারে মানুষ হত্যা করে তখন কেনো আদালত থেকে কোরো রায় আসে না?’
গাজী বলেন, ‘পেট্রোলবোমার বিরুদ্ধে মিডিয়াকে সোচ্চার হতে দেখেছি। কিন্তু ক্রসফায়ারে মানুষ মারার বিরুদ্ধে মিডিয়ার কোনো সরব উপস্থিতি দেখছি না।’
তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র না থাকলে মানুষের মৌলিক অধিকার ও ন্যায়বিচার থাকে না। বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে মানুষ মারা এতো সহজ হয়ে গেছে যা বাংলাদেশে এর আগে কখনো দেখিনি।’
খালেদা জিয়ার সঙ্গে সরকার অমানবিক আচরণ করছে মন্তব্য করে এই সাংবাদিক নেতা বলেন, ‘জেলে যদি মানুষ থাকে তাকেও খাবার দেয়া হয়। কিন্তু বিএনপি চেয়ারপারসনকে খাবারও দেয়া হচ্ছে না। এটা সরকারের কী ধরনের অমানবিক আচরণ? মানবাধিকার কর্মীদের এ বিষয়ে কথা বলার জন্য দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’
খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের দরজা খুলে দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি আরো বলেন, ‘কার্যালয়ের নিরাপত্তার দায়িত্ব সরকার বা পুলিশ নিয়েছে। কিন্তু এ বাড়ির ভেতরের মানুষের নিরাপত্তার ব্যবস্থা কে নেবে?’
‘বর্তমানে গণমাধ্যম ইতিহাসের সর্বোচ্চ বাকস্বাধীনতা ভোগ করছে’ তথ্যমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের জবাবে গাজী বলেন, ‘যদি স্বাধীনতাই ভোগ করে তাহলে দিগন্ত টেলিভিশন, ইসলামী টেলিভিশন, আমার দেশ পত্রিকা বন্ধ কেন?’
ড্যাবের সহ-সভাপতি ডা. আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের যুগ্ম-সম্পাদক কাদের গনি চৌধুরী, ড্যাবের উপদেষ্টা ডা. সিরাজউদ্দিন, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব এসএম রফিকুল ইসলাম বাবু, যুগ্ম-মহাসচিব জহিরুল ইসলাম শাকিল ও ঢাকা মহানগরীর সভাপতি ওবায়দুল কবীর খান প্রমুখ।
বাংলামেইল২৪ডটকম/ এমআইকে/ এইচ/ এস

A History of Bangladesh Willem van Schendel

http://bangladeshdhaka1.blogspot.com/

সীতাকুণ্ডে গুলিবিদ্ধ চারজনের সঙ্গে ককটেল ও অকটেন ছিল ‘হাতকড়া পরিয়ে গুলি করে পুলিশ’

প্রণব বল ও কৃষ্ণ চন্দ্র দাস | আপডেট: | প্রিন্ট সংস্করণ
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে পুলিশের ‘পাল্টা গুলি’তে আহত চারজন অভিযোগ করেছেন, হাতকড়া পরিয়ে রাস্তার পাশে তাঁদের পায়ে গুলি করা হয়েছে। তবে তাঁরা বলেছেন, গ্রেপ্তারের সময় তাঁদের কাছে ককটেল ও অকটেন ছিল। চারজনই বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত বলে জানিয়েছেন।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন চারজনের সঙ্গে গতকাল রোববার কথা হয় প্রথম আলো প্রতিবেদকের। এ সময় তাঁদের পাহারায় ছিল পুলিশ।
গত শনিবার রাতে সীতাকুণ্ডের নুনাছড়া এলাকায় পুলিশের ‘পাল্টা গুলি’তে চারজন গুলিবিদ্ধ ও একজন নিহত হন। পুলিশের দাবি, ওই দিন রাত সাড়ে নয়টার দিকে পাঁচ যুবক ককটেল ফাটিয়ে নাশকতার চেষ্টা চালান। এগিয়ে গেলে পুলিশের ওপর জাহাজের সিগন্যাল লাইট ছোড়েন তাঁরা। এ সময় পুলিশ পাল্টা গুলি চালায়।
গুলিবিদ্ধ পাঁচজনকে হাসপাতালে নেওয়ার পর একজনকে মৃত ঘোষণা করা হয়। নিহত মো. আরিফ হোসেন সীতাকুণ্ডের বারৈয়ারঢালা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক। গতকাল সকালে আরিফের স্ত্রী রাশেদা বেগম পুত্রসন্তানের জন্ম দেন। আর বিকেলে নিজ গ্রাম পশ্চিম লালানগরে দাফন হয় আরিফের।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অর্থোপেডিক ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন গুলিবিদ্ধ চারজন হলেন মো. রুবেল, মো. সোহেল, নুরুল হাদিস ও মো. পারভেজ। প্রথম দুজন দুই পায়ে গুলিবিদ্ধ হন। তাঁদের দাবি, একসঙ্গে ধরলেও ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় নিয়ে গুলি করা হয়। একজনের ভাগ্যে কী ঘটছে, অন্যজন তা জানতেন না।
হাসপাতালে মো. পারভেজ প্রথম আলোকে বলেন, ‘সীতাকুণ্ডের নামার বাজার থেকে আমার বন্ধু সোহেল আমাকে সিএনজিতে (অটোরিকশা) তোলে। এ সময় গাড়িতে আরিফ ও হাদিসকে দেখতে পাই। কিছু দূর যাওয়ার পর পুলিশ সিগন্যাল (থামতে সংকেত) দেয়। সিএনজি থামলে আরিফ ও সোহেল দৌড় দেয়। পুলিশ তাদের জাপটে ধরে ফেলে।’
পেশায় নিজেকে রাজমিস্ত্রি দাবি করা পারভেজ বলেন, ‘পুলিশ আরিফের পকেট থেকে ককটেল উদ্ধার করে। গাড়িতে থাকা অকটেনের বোতলটিও উদ্ধার করে। এর পর আমাদের হাতকড়া পরানো হয়। একপর্যায়ে মারধর করে রাস্তার পাশে ফেলে পায়ে গুলি করে।’
পারভেজ বিএনপির সমর্থক হিসেবে সভা-সমিতিতে যেতেন বলে জানান। তাঁর বাড়ি সীতাকুণ্ডের বহরপুর এলাকায়। তাঁর বাঁ পায়ের হাঁটুতে গুলি লেগেছে।
নুরুল হাদিসের গুলি লেগেছে ডান পায়ের হাঁটুতে। সীতাকুণ্ডের পশ্চিম লালানগর এলাকার এই তরুণও অভিযোগ করেন, পুলিশ হাতকড়া পরিয়ে তাঁদের গুলি করে। তিনি পাশাপাশি নাশকতার দায় নিহত আরিফের কাঁধে চাপিয়েছেন।
নুরুল হাদিস বলেন, ‘আমাদের হাতকড়া পরিয়ে প্রথমে মারধর করে। পরে রাস্তার পাশে ফেলে হাঁটুতে গুলি করে। কোনো বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটেনি। আমাদের কাছে তিনটি ককটেল ও অকটেনভর্তি একটি বোতল ছিল। এগুলো কী কাজে নিচ্ছিল তা আরিফ জানেন।’
আরিফ তাঁকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় তুলে নেন বলে নুরুল হাদিস দাবি করেন। আরিফের কাছে ককটেল থাকলেও আগ্নেয়াস্ত্র ছিল কি না, তা নুরুল হাদিস জানেন না বলে দাবি করেছেন।
সিএনজিচালিত অটোরিকশাটি চালাচ্ছিলেন রুবেল। তাঁর বাড়ি শেখেরহাট এলাকায়। হাসপাতালে তাঁর মা নূর বানু বলেন, ‘আমার ছেলে এসব কিছুতে নেই। সে কাল সারা দিন বাড়িতে ছিল। সন্ধ্যায় গাড়ি নিয়ে বের হয়। এরপর এই ঘটনা।’ রুবেলও নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন।
বহরপুর এলাকার মো. সোহেল পুলিশ দেখে দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘আরিফ আমাদের কী কাজে নিয়ে যাচ্ছিল জানি না। সিএনজিতে উঠে গাড়িতে অকটেন দেখি। কয়েকটি ককটেলও দেখতে পাই। পরে পুলিশ সিগন্যাল দিলে আমি ভয়ে দৌড় দিই। পরে পুলিশ ধরে এনে গুলি করে। আমাদের দিক থেকে কোনো গুলি হয়নি।’ রুবেলও পেশায় সিএনজি অটোরিকশাচালক।
নিহত আরিফের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালে নাশকতা এবং ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি ভোটকেন্দ্রে হামলার ঘটনায় দুটি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে সীতাকুণ্ড থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোতালেব সরকার।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নুনাছড়ার যে অংশে শনিবার রাতে পুলিশের ওপর হামলা, ককটেল বিস্ফোরণ ও পাল্টা গুলির ঘটনা ঘটেছে, গতকাল সেখানে গিয়ে আশপাশের মানুষের সঙ্গে প্রথম আলোর প্রতিবেদকের কথা হয়। তাঁদের একজন শিম ব্যবসায়ী মো. রাসেল। মহাসড়কের পাশেই তাঁর বাড়ি। তিনি জানান, প্রথমে ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ শোনেন তিনি। পরে বেশ কয়েকটি গুলির শব্দ শোনেন। ভয়ে তিনি ঘর থেকে বের হননি।
এসআই জানান, শনিবারের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ২০ জনের নাম উল্লেখ করে সীতাকুণ্ড থানায় তিনটি মামলা করেছে। হত্যা, পুলিশের ওপর হামলা ও মহাসড়কে নাশকতার ঘটনায় এসব মামলা হয়েছে।
গুলিবিদ্ধ চার তরুণের অভিযোগের বিষয়ে সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইফতেখার হাসান দাবি করেছেন, তাদের অভিযোগ মিথ্যা। পুলিশের ওপর হামলা চালানোর পর আত্মরক্ষার্থে গুলি করা হয়। তাদের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র, ককটেল ও অকটেন উদ্ধার করা হয়েছে।
ওসি জানান, আরিফের পায়ে গুলি লেগেছিল। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তাঁর মৃত্যু হতে পারে।
সন্তানের মুখ দেখে যেতে পারলেন না আরিফ: শনিবার রাতে পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে যুবদলের নেতা আরিফ হোসেনের। তাঁর স্ত্রী রাশেদা বেগম গতকাল সকালে একটি পুত্রসন্তান প্রসব করেন। এটি তাঁদের প্রথম সন্তান।
লালানগর গ্রামে গতকাল দুপুরে আরিফের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, তাঁর মা হাছিনা বেগমকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করছেন স্বজন ও প্রতিবেশীরা। তিনি বলেন, ‘আমার ছেলে কোনো রাজনীতি করে না। বউয়ের বাচ্চা প্রসবের জন্য ফুফুকে ডেকে আনতে গিয়েছিল। সন্তানের মুখ দেখার আগে পুলিশ আমার ছেলেকে মেরে ফেলল।’
আরিফের বোনের স্বামী মো. মাসুদ জানান, আরিফ বাড়ি থেকে রাত আটটার দিকে সীতাকুণ্ড সদরে যান তাঁর ফুফুকে আনার জন্য। সেখান থেকে বটতল হয়ে বাড়ি ফেরার কথা তাঁর। কিন্তু বটতল পেরিয়ে নুনাছড়ায় কে তাঁকে নিয়ে গেল, সেটিই তাঁর প্রশ্ন।
সন্তান জন্মের দিনে স্বামীর দাফন হচ্ছে—আরিফের স্ত্রী রাশেদা বেগমকে কী বলে সান্ত্বনা দেবেন স্বজনেরা। তাঁর পাশে বসে সবাই অঝোরে কাঁদছেন।
স্বজনেরা জানান, পাঁচ ভাই ও দুই বোনের মধ্যে আরিফ ছিলেন দ্বিতীয়। তাঁর বড় এক ভাই ১০ বছর আগে মারা গেছেন।
এ ঘটনাকে ‘হত্যাকাণ্ড’ উল্লেখ করে তীব্র নিন্দা জানিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে উপজেলা যুবদল।
ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দীন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আন্দোলন-সংগ্রাম যদি দেশের আইনে অপরাধ হয়ে থাকে, তাহলে প্রচলিত আইনে আরিফের বিচার হবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এভাবে গুলি করে হত্যা করার ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না।’
আরিফের বাড়ির পাশে ককটেল বিস্ফোরণ: যুবদলের নেতা আরিফের বাড়ির পাশের বাঁশঝাড়ে গতকাল সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। বিকট শব্দ হওয়ায় আশপাশের বাড়িতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে বলে সীতাকুণ্ড থানার ওসি জানিয়েছেন।