রুহুল আমিন গাজী বলেন, ‘সহিংসতা বন্ধে সরকারকে ব্যবস্থা নিতে আদালত নির্দেশ দিয়েছে কিন্তু পুলিশ যখন বিনাবিচারে মানুষ হত্যা করে তখন কেনো আদালত থেকে কোরো রায় আসে না?’
গাজী বলেন, ‘পেট্রোলবোমার বিরুদ্ধে মিডিয়াকে সোচ্চার হতে দেখেছি। কিন্তু ক্রসফায়ারে মানুষ মারার বিরুদ্ধে মিডিয়ার কোনো সরব উপস্থিতি দেখছি না।’
তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র না থাকলে মানুষের মৌলিক অধিকার ও ন্যায়বিচার থাকে না। বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে মানুষ মারা এতো সহজ হয়ে গেছে যা বাংলাদেশে এর আগে কখনো দেখিনি।’
খালেদা জিয়ার সঙ্গে সরকার অমানবিক আচরণ করছে মন্তব্য করে এই সাংবাদিক নেতা বলেন, ‘জেলে যদি মানুষ থাকে তাকেও খাবার দেয়া হয়। কিন্তু বিএনপি চেয়ারপারসনকে খাবারও দেয়া হচ্ছে না। এটা সরকারের কী ধরনের অমানবিক আচরণ? মানবাধিকার কর্মীদের এ বিষয়ে কথা বলার জন্য দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’
খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের দরজা খুলে দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি আরো বলেন, ‘কার্যালয়ের নিরাপত্তার দায়িত্ব সরকার বা পুলিশ নিয়েছে। কিন্তু এ বাড়ির ভেতরের মানুষের নিরাপত্তার ব্যবস্থা কে নেবে?’
‘বর্তমানে গণমাধ্যম ইতিহাসের সর্বোচ্চ বাকস্বাধীনতা ভোগ করছে’ তথ্যমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের জবাবে গাজী বলেন, ‘যদি স্বাধীনতাই ভোগ করে তাহলে দিগন্ত টেলিভিশন, ইসলামী টেলিভিশন, আমার দেশ পত্রিকা বন্ধ কেন?’
ড্যাবের সহ-সভাপতি ডা. আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের যুগ্ম-সম্পাদক কাদের গনি চৌধুরী, ড্যাবের উপদেষ্টা ডা. সিরাজউদ্দিন, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব এসএম রফিকুল ইসলাম বাবু, যুগ্ম-মহাসচিব জহিরুল ইসলাম শাকিল ও ঢাকা মহানগরীর সভাপতি ওবায়দুল কবীর খান প্রমুখ।
No comments:
Post a Comment